বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন মরিচবুনিয়া ইসলামিয়া নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক (আরবি) জনাব মঃ সাইদুর রহমান এর দুর্নীতি ও বেসরকারি চাকুরি বিধি বহির্ভুত কর্মকান্ডের বিরুদ্বে জনাব,মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ০১/১২/২০২৪ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পটুয়াখালী সদর বরাবর অভিযোগ দাখিল করলে উপজেলা আইসিটি, সহকারি প্রোগ্রামার কে তদন্তের ভার দেন তিনি গত ১০/১২/২০২৪ইং, ১২/১২/২০২৪ইং ও ১৭/১২/২০২৪ইং তারিখ উপজেলা আইসিটি কার্যালয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানিতে অভিযোগ কারি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ তাদের লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন এবং তাদের বক্তব্যের পক্ষে বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রদান করেন।
অভিযোগে বলা হয় অভিযুক্ত মোঃ সাইদুর রহমান ১৫/১০/২০১৪ তারিখে সভাপতির নিকট ২০/১০/২০১৪ হতে ২০/১০/২০১৬ইং তারিখ পর্যন্ত, তিন বছরের শিক্ষা ছুটির আবেদন করেন! আবেদনের সাথে Wonkwang university Lksan.South Korean এর Department of Islamic Culture and Arabic এর ভর্তির যাবতীয় কাগজ পত্র ভুয়া করে জমা দেন।মোঃ সাইদুর রহমান কর্তৃক দাখিলকৃত বিশ্ববিদ্যালয় Wonkwang university Lksan.South Korea এর ওয়েবসাইট https://eng.Wku.ac.kr/বিশ্ববিদ্যালয় Department of Islamic Culture and Arabic নামে কোন ডিপার্টমেন্ট এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি যা তার লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।
মোঃ সাঈদুর রহমান ১১/১১/২০২৪ তারিখ নিউ টাউন শাখা, পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর মাধ্যমে তার শিক্ষা ছুটি ভোগকৃত সময়ের বেতন,ভাতার উত্তোলনকৃত তিন লক্ষ উনিশ হাজার একাশি টাকা (৩.১৯. ০৮১) টাকা চালানের মাধ্যমে জমা দেন যার ট্রাকিং নাম্বার ২৪২৫-০০১৫৬৪৩৩৮৭ কিন্তুু একুইটেন্স রোল বইতে অক্টোবর ২০১৪ হতে অগাস্ট ২০১৫ পর্যন্ত তার স্বাক্ষর করেছে, যাহার পরিমাণ এক লক্ষ তেপ্পান্ন হাজার ছয় শত পনের (১.৫৩.৬১৫) টাকা। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন অভিযুক্ত মোঃ সাইদুর রহমান কর্তৃক তিন লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার নয় শত আটান্ন টাকা ( ৩.৪২. ৯৫৮) টাকা উত্তোলন করেন যার মধ্যে এক লক্ষ তেপ্পান্ন হাজার ছয় পনের টাকা একুইটেন্স বইতে স্বাক্ষর করেন আর এক লক্ষ ঊননব্বই হাজার তিন শত তেতাল্লিশ ( ১.৮৯.৩৪৩) টাকা একুটেন্স বইতে স্বাক্ষর ছাড়া উত্তোলন করেছেন। অভিযুক্ত মোঃ সাইদুর রহমান মোট তিন লক্ষ উনিশ হাজার একাশি টাকা ( ৩.১৯.০৮১) টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন যার মধ্যে এক লক্ষ তিপ্পান্ন হাজার ছয় শত পনের (১.৫৩.৬১৫) টাকার স্বাক্ষর একুইটেন্স বইতে দিয়েছেন। অতিরিক্ত টাকা তিনি স্বাক্ষর বিহীন উত্তোলন করেছেন বলে প্রমাণিত।
অভিযুক্ত মোঃ সাইদুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করলে ২১/১১/২০১৬ তারিখ স্বপদে যোগদান করে তিনি কোন শিক্ষা সনদ দাখিল করেন নি। প্রাক্তন অধ্যক্ষ ৪৪/১৮ তারিখ ১৪/৩/২০১৮ এবং ৪৭/১৯ তারি ০৫/০২/২০১৯ স্বারক মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে সনদ জমা দেওয়ার জন্য কারন দর্শাণো নোটিশ প্রদান করলেও অভিযুক্ত শিক্ষক তা আমলে নেন নি। সর্বশেষ ১৮/২/২০২৪ তারিখে অভিযুক্ত শিক্ষককে ৩য় বারের মতো নোটিশ প্রদান করেন। তাতেও কোন উত্তর দাখিল করেন নি,তারই ভিত্তিতে ২২/২/২০২৪তারিখে প্রতিষ্ঠানের মাসিক সভাতে রেজুলেশনের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০২৪ /৪ তারিখ ২২/২/২০২৪ তারিখ স্বারক এর মাধ্যমে মোঃ সাইদুর রহমান প্রভাষক ( আরবি) কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহি অফিসার সভাপতি থাকা অবস্থায় ২৫/৬/২০২৩ তারিখ আবেদন করা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজ নির্বাহি অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দিলে সেখানেও অভিযোগের সত্যতা মিলে।
মোঃ সাইদুর রহমান স্টুডেন্ট ভিসার কথা বলে লেভার ভিসায় বিদেশ গমন করেন তার মূল পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি চাইলে তিনি হারিয়ে গিয়েছে বলে জানান।
তার পাসপোর্ট হারানো প্রমাণ চাওয়া হলে তিনি তরিগরি করে পটুয়াখালী সদর থানাতে ১২/১২ /২০২৪ তারিখে তার পাসপোর্ট হারানোর একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
যার নাম্বার হচ্ছে ৬৩৬ ,জিডি ট্রাকিং নং ৬১৪২p9 তদন্ত কর্মকর্তা আইসিটির কার্যলয় পেশ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মোঃ মুসাব্বির মিরাজ সহকারী প্রোগ্রামার উপজেলা আই সি টি, পটুয়াখালী সদর পটুয়াখালীকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, জনাব মোঃ সাইদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি গ্রহণ, শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন, দেশে ফিরে পূরবর্তি বছরের বেতন ভাতা উত্তোলন একুইটেন্সের স্বাক্ষর না করার মাধ্যমে প্রতারণা এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।তিনি
শিক্ষা ছুটি ভোগ কালিন সময় উচ্চ শিক্ষায় জরিত ছিল না, সেহেতু তার ছুটি অবৈধ হিসেবে গণ্য করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিদি মোতাবেক ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।।